জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার মাত্রা কম থাকলেও হিমেল হওয়ার সাথে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলায়ও তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষেরা। গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছেন তারা। ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক মানুষ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন জানান, দিনমজুরের কাজ করি। ঠান্ডায় বের হওয়া যায় না। গত ৩ দিন ধরে বেরই হওয়া যাচ্ছে না। খুব কষ্টে আছি।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের আব্দুল গফুর বলেন, নদী বেষ্টিত এই ইউনিয়নে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি। এখানকার মানুষ তীব্র শীত কষ্টে ভুগছে। অন্যান্য বছর সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও এবছর তেমনটা চোখে পড়ছে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওযা পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন এমন থাকবে। পরে একটু উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুল আলম হালিম জানান, সদর উপজেলায় শীত নিবারণে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে শীতবস্ত্র মজুত নেই। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পেলে বিতরণ করা হবে।