নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই দফা সময় বাড়িয়েও পূরণ হচ্ছে না হজের কোটা। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করতে পারার কোটা পাওয়া গেলেও বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। তাদের মধ্যে সরকারি কোটায় ৩ হাজার ৭৬৯ জন ও বেসরকারি কোটায় ৪২ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও ফাঁকা ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যেই শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন কার্যক্রম। আর কোনোভাবেই সময় বাড়ানো হবে না। রাতের মধ্যে ৩ হাজার ব্যক্তি নিবন্ধন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে, শেষ সময়েও হজের কোটা পূরণ হচ্ছে না। নিবন্ধিতদের মধ্যে যারা হজে যেতে চান, তাদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম জানিয়েছেন, হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। এরইমধ্যে সৌদি আরবের অনুমতি নিয়ে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। সৌদি আরব আমাদের আর কোনো সময় দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, গত বছর সৌদি সরকার সময় দিয়েছিল, তাই আট বার সময় বাড়ানোর সুযোগ ছিল। এবার সে সুযোগ দিচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন এবং বিমানের ফ্লাইটের শিডিউল আজকের মধ্যেই সৌদি আরবকে জানাতে হবে। তাই, ইচ্ছে থাকলেও আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। যারা হজে যেতে চান, তাদেরকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার অনুরোধ করছি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগ্রহী হজযাত্রীরা শুরুতে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন এবং প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে, প্রাথমিক নিবন্ধন করার পর ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
নির্ধারিত হজের কোটা পূরণ করতে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর পর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে, দ্বিতীয় দফায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধির পরও প্রায় ৮০ হাজার ৫২৩ জনের বিশাল কোটা পূরণ হচ্ছে না।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি কোটায় ১ লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন।
সরকারিভাবে এ বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। বেসরকারি পর্যায়ে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা, যা ২০২৩ সালের সাধারণ হজ প্যাকেজের চেয়ে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কম। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে।