আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুপার মুকুট হাতে রামমন্দিরে প্রবেশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভারতীয় স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালাকে পরানোর জন্য রুপার মুকুট নিয়ে প্রবেশ করেন নরেন্দ্র মোদি।
এরপর রামলালার মূল মূর্তিকে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে আনা ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে রীতি মেনে পূজায় বসেন মোদি। এসময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতও পুজায় অংশ নেন। বিগত ১১ দিন থেকে রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য কঠোর তপস্যা পালন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
ওয়ান ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পুজা শেষে অভিজিৎ মুহূর্তে ৮৬ সেকেন্ডের মধ্য রামলালার মূর্তিতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন মঠ-মন্দির থেকে আমন্ত্রিত ১২১ ‘আচার্য’ ও পূজারির মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে ‘রামলালার’ প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসময় হেলিকপ্টারে করে রাম মন্দিরের উপরে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর নির্মাণাধীন রামমন্দির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দিরটির আয়তন ৯৫ হাজার বর্গফুট। এতে ৩৯২টি পিলার ও ৪৪টি দরজা আছে। মন্দিরের সবচেয়ে পবিত্র জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে রামের পাঁচ বছর বয়সের একটি মূর্তি।
অযোধ্যায় ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পর সেই স্থানেই নির্মিত হচ্ছে রামমন্দির। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় একটি অংশের দাবি ছিল, বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল ঐতিহাসিক রাম জন্মভূমির ওপর। সেই সূত্র ধরেই মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়। ২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক যুগান্তকারী রায়ে বাবরি মসজিদ ও আশপাশের জমিকে মন্দিরের জন্য নির্ধারণ করে এবং মুসলমানদের মসজিদের জন্য একটি বিকল্প প্লট দেওয়ার নির্দেশ দেয়।