জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় বাদী-বিবাদীকে আটক করে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক অবমুক্ত) করা হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তাদের স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ দেন।
বদলির আদেশ পাওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলামকে নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় ও এসআই সাজ্জাদ হোসেনকে ভাসানচর থানায় বদলি করা হয়েছে। দ্রুত তাদের বর্তমান কর্মস্থল ত্যাগ করে সেখানে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠায় এসআই সাজ্জাদ হোসেন ও আশরাফুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় মামলা দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সুশৃঙ্খল বাহিনী। এখানে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই। পুলিশের ভাবমুর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ বরদাস্ত করা হবে না।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিন সম্পত্তির বিরোধে তার প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত উভয়পক্ষকে ওই জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। এ বিষয়ে গত ১৭ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফরিদ মিয়া সতর্কতার নোটিশ জারি করেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ওই সম্পত্তিতে কাজ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির উপক্রম হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থল থেকে বিবাদী খোরশেদ আলমসহ উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করেন এসআই আশরাফুল ইসলাম।
পরে থানা থেকে আটকদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে খোরশেদ আলমের আত্মীয় নাইমুল হক ইভানের কাছ থেকে এসআই আশরাফুল পাঁচ হাজার এবং এসআই সাজ্জাদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও আসামি ছেড়ে না দিয়ে আদালতে পাঠালে আপত্তি তোলেন খোরশেদ আলমের পরিবার।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ভুক্তভোগীর আত্মীয় নাইমুল হক ইভানের বাড়িতে গিয়ে ঘুষ নেয়া টাকা ফেরত দেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে ঘুষ নেয়ার লিখিত অভিযোগ করেন নাইমুল হক ইভান।