জেলা প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনা নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। এসময় মো. সোহাগ হোসেন (৩৫) নামে তার এক সহযোগিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি দক্ষিণ টুটপাড়া ছোট খালপাড়স্থ বায়তুল আমান মসজিদ সড়কের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর বাবুর্চির ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লবণচরা থানা পুলিশের একটি টিম আমতলা মদিনাবাদ উকিলের কালভার্টের সামনে চেকপোস্ট বসায়। এ সময় সন্দেহবশত তারা সোহাগ হোসেনকে আটক করে। পরে তার প্যান্টের পকেট থেকে ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানায়, তিনি গুলি কিশোর গ্যাং লিডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে কিনেছেন এবং আব্দুল্লাহর কাছে একটি বিদেশি পিস্তল ও আরও গুলি রয়েছে। তাকে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ বড় খালপাড় সংলগ্ন আর্জুর কালভার্ট এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল্লাহ জানায়, লবণচরা থানাধীন খান বাহাদুর সড়কস্থ মতি মিয়ার মিলের উত্তর পাশে সোহেল ওরফে পালসার সোহেলের নির্মাণাধীন এক তলা ভবনের ভেতরে ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রাখা আছে। ওই পিস্তলটি তিনি নিজে এবং সোহাগ ও সোহেল মিলে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার করেন।
তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ সোহেল ওরফে পালসার সোহেলের নির্মাণাধীন ১তলা ভবনে অভিযান চালায়। ভবনটি তালাবদ্ধ থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভবনের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে মেঝের বালুর নিচে সিমেন্টের বস্তার মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিনসহ লোড করা অবস্থায় পিস্তলটি উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামি সোহেল ওরফে পালসার সোহেলকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল অতি. দায়িত্বে ক্রাইম) মোছা. তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) পলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান, লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।