নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আশুলিয়ার আলোচিত কাজিম উদ্দিন (৫৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কাজিম উদ্দিনকে গলাকেটে হত্যা করে তার ভাতিজা আব্দুল লতিফ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, কাজিম উদ্দিন হত্যার রহস্য উদঘাটনে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় নিহতের ভাতিজা আব্দুল লতিফকে। পরে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আব্দুল লতিফ নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কাজিম উদ্দিনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল লতিফের। প্রায়ই তাদের মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হতো। গত মঙ্গলবার রাতে কাজিম উদ্দিন তার ডেইরি ফার্মে অবস্থান করছিলেন। লতিফের সঙ্গে ওই রাতে জমিজমা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় কাজিম উদ্দিনের। একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমে থাকা বটি দিয়ে কাজিম উদ্দিনকে গলাকেটে হত্যা করে।
‘হত্যার ঘটনা কেউ যেন বুঝতে না পারে, সেজন্য নিহতের মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে, রুমের দরজা তালা দিয়ে এবং হত্যায় ব্যবহৃত বটি পাশের রুমে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান লতিফ।’- বলেন তিনি।
খন্দকার আল মঈন বলেন, পরের দিন সকালে নিহতের স্ত্রী ফার্মে গিয়ে রুমের দরজা তালা দেওয়া দেখে ভাবে, তার স্বামী বাইরে গেছে। ওই রুমের একটি চাবি নিহতের কাছে এবং অপরটি থাকত তার স্ত্রীর কাছে। ফার্মের লোকজন গরুর ওষুধ নেওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে দরজা খুললে কাজিম উদ্দিনের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
তিনি আরও বলেন, কাজিম উদ্দিন হত্যার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লতিফ গ্রেপ্তার এড়াতে সাভারের আশুলিয়ায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরে র্যাব সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে।