আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে সোজা ১২০ ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারের মাথায় উঠে বসে থাকলেন স্বামী। মদ্যপ অবস্থায় সেখানেই বসে থাকলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের পাত্রগাতি গ্রামে।
দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়েছে, গ্রামবাসীদের হাজার অনুরোধও কাজে দেয়নি। রাগ করে রাত পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ারের মাথাতেই বসে ছিলেন ২৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। কিন্তু তা-ও নামিয়ে আনা যায়নি ওই ব্যক্তিকে। শেষ পর্যন্ত খবর দিতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
প্রায় সাত ঘণ্টা পর রাত ২টার দিকে ওই ব্যক্তিকে বুঝিয়ে টাওয়ার থেকে নিচে নামাতে সক্ষম হন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম সীমান্ত মাঝি। পেশায় ক্ষেতমজুর। তার স্ত্রী মিঠু মাঝি জানিয়েছেন, স্বামী প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত। রোজগারের বেশিরভাগ টাকা মদেই শেষ করে দিত। এই নিয়ে প্রতিদিন সংসারে ঝামেলা হতো।
শনিবার গ্রামে এক সাপুড়ে এসেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি মিঠুর স্বামীর কথা শোনেন। সীমান্তর দোষ কাটাতে সাপুড়ে মিঠুকে কিছু কবচ-মাদুলি দেন। বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পেরেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন সীমান্ত। এরপরই দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরে থাকা ১২০ ফুট উঁচু একটি মোবাইল টাওয়ারের উপর উঠতে শুরু করেন। গ্রামবাসী তাকে বারবার নেমে আসতে বললেও তিনি ক্রমশ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে যান।
মিঠু বলেন, আমার স্বামী আজ এমন কাণ্ড করে বসবে ভাবতে পারিনি। স্বামী টাওয়ারে উঠে পড়তেই গ্রামের সিভিককর্মীকে খবর দিয়েছিলাম। ওই সিভিককর্মীই ঘটনার কথা থানায় জানান।
মোবাইল টাওয়ার সংস্থার কর্মকর্তা পীযূষ কুমার মণ্ডল বলেন, টাওয়ারের নিচের অংশ ব্যারিকেডে ঘেরা। ওই ব্যক্তি টপকে ভেতরে ঢুকেছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।