নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরের মধ্যে দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে ফজর পর্যন্ত মুসল্লিরা মসজিদে, বাসায় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। পবিত্র শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বিতরণ, দান-সাদকাহ এবং পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারত করা হয়। দেশ, জাতি ও মুসলিম বিশ্বের জন্য সুখ শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন মুসল্লিরা।
শবে বরাত উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের অধিকাংশ মসজিদে সন্ধ্যার পর থেকে মুসল্লির ঢল নামে। ভোররাতে তাহাজ্জুদের নামাজ ও ফজরের নামাজ শেষে আখেরি মোনাজাতে শামিল হন মুসল্লিগণ। দোয়া-মোনাজাত করে তারা বাসায় ফিরেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আয়োজন করা হয় কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত ও ওয়াজ মাহফিলের। মাগরিবের নামাজ শেষে শবে বরাতের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয় বায়তুল মোকাররমে।
শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন মাদারীপুরের জামেআতুছ সুন্নাহ শিবচরের মুহতামিম মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী।
রাত সাড়ে ১২টায় আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে করণীয় নিয়ে ওয়াজ করেন ঢাকার বাদামতলীর শাহাজাদ লেন জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী।
রাত ৩টা ১৫ মিনিটে নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান।
ভোর সাড়ে ৫টায় দোয়া-মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় শবে বরাতের আয়োজন। ফজরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাত করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান।
শবে বরাত উপলক্ষে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি রয়েছে।