গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে ধর্ম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার নাইম হোসেন হৃদয়। নাইম এ বছর মুকসুদপুর উপজেলার হাদিউজ্জামান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
পরীক্ষা শেষে নাইম হোসেন হৃদয় বলেন, বাবার ইচ্ছা ছিলো আমি বড় হয়ে বিসিএস ক্যাডার হবে। কিন্তু বাবা দেখে যেতে পারলেন না আমার ভবিষ্যত। তার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সরকারি মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্রে ধর্ম পরীক্ষা দেয় ওই শিক্ষার্থী। মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাইম হোসেন হৃদয় মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মোল্যার ছেলে।
নাইম হোসেন হৃদয় বলেন, আমার বাবা মনিরুজ্জামান মোল্যা গতকাল (সোমবার) রাতে স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। কিন্তু আজ আমার ধর্ম পরীক্ষা ছিলো। আমার বাবার মরদেহ দাফন করা হবে আজ। আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দিতে এসেছি। পরীক্ষা দিলাম, এখন বাড়িতে গিয়ে বাবার মরদেহ দাফন করবো।
এ শিক্ষার্থীর চাচা বাবুল মোল্যা জানান, আমার ভাই মনিরুজ্জামান গতকাল রাতে স্ট্রোক করে মারা যান। ভাতিজার আজ পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষা শেষ হয়েছে, এখন আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ দাফন করা হবে।
কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, নাইম হোসেনের বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা তাকে আলাদা পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। সে জানিয়েছিলো সবার সাথে বসেই পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার সময় সে স্বাভাবিক ছিলো৷ তার পরীক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো।
পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুকসুদপুর থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, নাইম হোসেন হৃদয় মোল্যার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে দেওয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো। সে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।