নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজানের বাকি আর মাত্র কয়েকটি দিন। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে চাল, মাছ, মাংস এবং সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। যে কারণে সাধারণ ক্রেতারা অস্বস্তি প্রকাশ করছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিনি, মসুর ডাল, অ্যাংকর ডাল, খেসারি ডাল, ছোলা ও পেঁয়াজ, তেলের দাম বেড়েছে।
রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৭০ ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও ফুলকপি ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে। চাষের পাঙাস কেজি ২০০ থেকে ২২০টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের শিং ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কই ৩০০ টাকা, পাবদা মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ডজন। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজধানীর নিউমার্কেটের মুদি দোকানদার হাসান মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, রমজানের আগে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। বিশেষ করে ডাল জাতীয় পণ্যের দাম বাড়তি। এখন এক কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে।
রাজধানীর ধানমন্ডির সালেক গার্ডেন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আসমা বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, রমজান আসার আগেই তারা সব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। আমরা মধ্যবিত্তরা কি খাব। রমজান আসলে পৃথিবীর সব দেশে দাম কমিয়ে দেয়, আর আমাদের দেশে দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা সাধারণ ক্রেতারা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি।