চাঁদপুর প্রতিনিধি : ধুমধাম করে বিয়ের মাত্র দুইদিন যেতে না যেতেই বাসায় চিরকুট লেখে পুরাতন প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছেন নববধূ। তাই রাগে ক্ষোভে অপমানে শ্বশুরের বাসায় আত্মহত্যা করেছেন স্বামী ইবাদ খান।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ায় শ্বশুরের বাসার এক কক্ষে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত ইবাদ খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম খানের ছেলে। তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মার্কেটিংয়ের কাজ করতেন। পরিবারে দুই ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিকভাবে ইবাদ খানের সাথে গত ৮ মার্চ বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলমের মেয়ে খাদিজা আক্তারের বিয়ে বেশ ধুমধাম করেই হয়েছিলো। তবে বিয়ের রাতেই অর্থাৎ বাসরঘরে স্বামী ইবাদ খানকে কাছে আসতে দেননি এই নববধূ। যা পরদিন সকালেই ইবাদ তার মা সুলতানা বেগমকে জানিয়েছিলেন। যদিও ইবাদকে তার মা সব ঠিক হয়ে যাবে বলে ধৈর্য ধরে থাকতে বলে। কিন্তু একই ঘটনা পরবর্তী দিনগুলোতেও ঘটতে থাকে ।
স্থানীয়রা জানান, খাদিজা আক্তার নামের এই নববধূ সোমবার (১১ মার্চ) স্বামীর বাড়িতে আসার কথা থাকলেও নিজেকে অসুস্থ দাবি করে পরদিন মঙ্গলবার আসবে বলে জানায়। কিন্তু সোমবার রাতেই তিনি একটি চিরকুট লিখে তার পুরাতন প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান। ইবাদ খান মঙ্গলবার (১২ মার্চ) তার শ্বশুর বাড়িতে থেকে বাবা-মাকে বিষয়টি অবগত করে। খবর পেয়ে বিকেলে দ্রুত ইবাদের বাবা খোরশেদ আলম খান ও মা সুলতানা বেগম ছেলের শ্বশুর বাড়িতে যান। খাদিজার বাবা ইবাদের বাবাকে থানায় গিয়ে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় ইবাদ খান অন্য কক্ষে ছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দ শুনে ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন ইবাদ বিষ খেয়ে ছটফট করছে। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ইবাদ মারা যায়।
এ বিষয়ে ইবাদ খানের মা সুলতানা বেগম বলেন, বুধবার (১৩ মার্চ) ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আসর ইবাদের জানাজা শেষে নিজ বাড়ির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, ইবাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।