ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করেছেন জেলা শহরের মাংস ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে তারা মাংস বিক্রি বন্ধ করেছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে পৌরসভার আওতাধীন এলাকায় ফারুকী বাজার, আনন্দবাজার (বড় বাজার), মেড্ডা বাজার, কাউতলী বাজার, দক্ষিণ মৌড়াইল বউ বাজার, বর্ডার বাজার, ভাদুঘর বাজারে গরু, খাসির মাংসের পাশাপাশি মোরগ-মুরগি বিক্রি হয়। গত রোববার রাতে বিপণন কার্যালয় থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ এবং যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের একটি তালিকা গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করা হয়।
সেখানে গরুর মাংস প্রতি কেজি দরে উৎপাদন খরচ ৫৮৭ দশমিক ৫০ টাকা, উৎপাদক পর্যায় খরচ ৬০৫ দশমিক ১৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজির দর ৬৬৪ দশমিক ৩৯ টাকা উল্লেখ করা হয়। এর জেরে জেলা মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতি গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এতে সম্মতি দিয়ে জেলা শহরের সকল গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা সোমবার সকাল থেকে জেলা শহরের বাজারগুলোতে কোনো গরু জবাই করেনি। সকাল থেকে তারা মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
মো. কামাল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, সকাল থেকে জেলা শহরের সকল বাজারে গরুর মাংস কিনতে গিয়েছি। কিন্তু কোথাও পাইনি। রমজান মাসে এমন হলে মানুষ খাবে কি।
জেলা মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিব। সরকারের এই মূল্য নির্ধারণে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসবেন।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, রমজানের আগেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ছিল। সরকার এবার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলব।