নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের ১৮ তারিখ পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে ২০ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এ বছর ঢাকার চেয়ে অন্য জেলাগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বেশি, প্রায় দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৩৯ জন। একই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মার্চ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা শহরে ৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৩ জন।
বিভাগভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা শহরে ৫৪৮ জন। এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৯০ জন, খুলনা বিভাগে ৯৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, আমরা প্রিভেনশন নেবো প্রতি ওয়ার্ডে— মানুষকে সচেতন করা, মানুষকে বোঝানো যে, ডেঙ্গু কীভাবে হয়। আমাদের হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যেন তারা হাসপাতাল প্রস্তুত রাখেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা যখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বা জ্বর হয়, তারা যেন অতি দ্রুত হাসপাতালে আসেন। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে দেরিতে আসেন। তখন কিছু করা যায় না। এই মেসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।
গত বছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং মারা যান। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।
বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ ১৯৬০ সালে হলেও ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। এর পর কম-বেশি প্রতি বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় কোভিডের আগের বছর ২০১৯ সালে। ওই বছর সারা দেশে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং মারা যান ১৬৪ জন।