আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় বছর বয়সী ফাদি আল-জান্ট তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। তার পাঁজর চামড়ার নিচে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে বিছানায় শোয়া ফাদির চোখ কোটরের নিচে চলে গেছে। কাঁটা পা দুটো আর তার ভার বহন করতে পারছে না।
অথচ যুদ্ধের আগের ছবিগুলোতে ফাদিকে হাস্যোজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর চেহারার শিশু হিসাবে দেখা যাচ্ছে।
ফাদি সিস্টিক ফাইব্রোসিসে ভুগছে। তার ওষুধ এখন আর পরিবার আর খুঁজে পাচ্ছে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় তার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ খাবার জোগাড়ও হয় না।
ফাদির মা রয়টার্সকে বলেন, ‘তার অবস্থা খারাপ হচ্ছে। সে দুর্বল হয়ে পড়ছে। সে তার কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। সে আর দাঁড়াতে পারে না। আমি যখন তাকে দাঁড়াতে সাহায্য করি, সে সরাসরি পড়ে যায়।’
ইসরায়েলের স্থল ও বিমান অভিযানের পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে ২৭ শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার কমল আদওয়ান হাসপাতাল। আরও বহু শিশু মারা গেছে গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী তিন শিশুর মধ্যে এক জন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে, যা জানুয়ারির তুলনায় দ্বিগুণ। ইউনিসেফ এবং এর অংশীদারদের পরিদর্শন করা আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল মঙ্গলবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ না হয় এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো গাজাজুড়ে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার না পায় তাহলে শত শত নয়, হাজার হাজার শিশু ক্ষুধায় মারা যেতে পারে।’