ফেনী প্রতিনিধি : একটানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় করে বাইসাইকেল উপহার পেয়েছে ফেনীর ২২ কিশোর।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মসজিদের সামনে বিজয়ী শিশু-কিশোরদের হাতে বাইসাইকেল উপহার তুলে দেওয়া হয়।
কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী ও নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে ব্যতিক্রম এ উদ্যোগ নিয়েছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি। কমিটির এমন ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে টানা ৪০ দিন মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করে বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নেয় ২২ জন শিশু-কিশোর।
প্রতিযোগিতা চলাকালীন মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের নাম রেজিস্ট্রেশন ও নিয়মিত নামাজের জামাত শেষে ইমামের স্বাক্ষর সংগ্রহ বাধ্যতামূলক ছিল।
শিশু-কিশোরদেরকে নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বগাদানা জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ডা. এম এ ইউসুফ বলেন, মূলত শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উৎসাহ যোগাতে এমন আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম ১০ বছরের শিশু থেকে ১৮ বছরের কিশোররা যদি ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে তাহলে প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার শিশু-কিশোররা মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করে। তাদের মধ্য থেকে ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়েছে এমন ২২ জনকে যাচাই-বাছাই করে বাইসাইকেল এবং বাকিদের সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
স্থানীয় অভিভাবকরা এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ কার্যক্রম বাচ্চাদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।
আবদুল মালেক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা বিষয়টি কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি যে, ছেলেরা নিয়মিত মসজিদে এসে জামায়াতে নামাজ আদায় করছে। তাদের পদচারণায় মসজিদ সব সময় মুখরিত থাকত।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের একজন মোস্তাফিজুর রহমান অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেছে, আমরা এ পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত খুশি। ৪০ দিন আমরা বন্ধুরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছি এবং আমরা এখন থেকে নিয়মিত নামাজ পড়বো।
বাইসাইকেল বিজয়ীরা হলেন, মেহেদী হাসান, সাফাত আল তাওসিফ, মো. আশরাফুল হক, মেহেদী হাসান, তামিম উদ্দিন (সোহান), মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রহীম, তাসনিমুল ইসলাম, নুরের জামান (মারুফ), মো. সাজেদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম, আরমান আলাউদ্দিন, ওমায়ের হোসেন, তাজুল ইসলাম, শাখাওয়াত হোসেন, ইমরান হোসেন (মেহরাজ), রিয়াদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, তানবীরুল ইসলাম।
দুই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ পুরষ্কার পান, ছালেহ আহাম্মদ, মো. ইয়াছিন, মো.ইউসুফ, আতিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, মো. দুলাল।