পিরোজপুর প্রতিনিধি : ক্রেতা না পাওয়ায় পিরোজপুরের কাউখালীতে মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। সোমবার (১ এপ্রিল) সাপ্তাহিক হাটের দিন মাইক হাতে ক্রেতা ডেকে তরমুজ বেচতে দেখা যায় তাদের।
তরমুজ ব্যবসায়ী মো. সবুজ বলেন, তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমেছে। তরমুজের কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ক্রেতারা। যেহেতু, তরমুজ পচনশীল একটি পণ্য তাই মাইকিং করে বিক্রি করছি। আজ ছোট সাইজের তরমুজ ৫০ টাকা, মাঝারি সাইজের ১০০ টাকা পিস এবং সবচেয়ে বড় সাইজের তরমুজ ১৫০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করছি। কিন্তু, এরপরও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
অপর তরমুজ ব্যবসায়ী চানমিয়া বলেন, তরমুজ বেশিদিন রাখা যায় না। দাম বেশি থাকায় ক্রেতারা তরমুজ কিনতে আসেন না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সামান্য লাভে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছি। গত এক সপ্তাহ আগে, যে তরমুজের দাম ছিল ৩০০ টাকা আজকে বাজারে সেই একই সাইজের তরমুজ বিক্রি করেছি মাত্র ১০০ টাকায়।
তরমুজ কিনতে আসা মাসুম বিল্লাহ বলেন, বেশি দাম থাকায় আগে আমরা তরমুজ কিনতে পারিনি। আজকে বাজারে তরমুজের দাম কম। আমার মতো অনেকেই তরমুজ কিনতে পারছেন। বাজার মনিটরিং জোরদার থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে চলে আসবে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছা করে দাম বাড়িয়ে যাতে পণ্য বিক্রি করতে না পারেন সে বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।