নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও পতনের মধ্যে দিয়ে তা শেষ হয়েছে। এ নিয়ে গত ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবসেই সূচকের পতন হয়েছে।
এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন অনেক কমলেও সিএসইতে কিছুটা বেড়েছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে বলে ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদিন সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর তিন মিনিট পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী সূচকের পতন হতে থাকে। লেনদেন শুরুর ৭ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২২.৯৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ৬.৩১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫.৬১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির, কমেছে ২৬৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩টির।
মঙ্গলবার ডিএসইতে মোট ৩৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৬৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ৫৪.২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৫.৬৪ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৪১৬ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৫.৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৮ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৫৬.৭৪ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৫৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন, সিএসইতে ২০৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫১টি কোম্পানির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২২টির।
দিন শেষে সিএসইতে ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।