ক্রীড়া ডেস্ক : ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের লড়াই মঙ্গলবার রাতে মাঠে গড়াবে। প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের মাঠে আতিথেয়তা দেবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিতে। অন্যদিকে আর্সেনাল ঘরের মাঠে খেলবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। বুধবার পিএসজি খেলবে বার্সেলোনার বিপক্ষে। আর অ্যাথলিটিকো মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
ম্যাচগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আয়োজকরা স্বীকার করেছেন তারা হামলার হুমকি পেয়েছেন। তবে এ নিয়ে সতর্কতা জারির কোনো কারণ দেখেন না তারা। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।
ডেইলি মেইলি এক প্রতিবেদনে এই খবর নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, মিডিয়া আউটলেট আল আজাইম ফাউন্ডেশন আইএসআইএসের এই হামলার খবর প্রচার করছে। প্রতিষ্ঠানটি একটি পোস্টার সোমবার সকালে প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায় কালো পোশাক পরে একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। সামনে বিশাল স্টেডিয়াম আর পেছনে এ সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের চারটি ভেন্যুর নাম লেখা—এমিরেটস স্টেডিয়াম, পার্ক দে প্রিন্সেস, মেত্রোপলিতানো অ্যারেনা ও সান্তিয়াগো বার্নব্যু। ক্যাপশন, ‘সবাইকে হত্যা করো।’
মার্কা এই খবর প্রকাশের পর স্পেনের একাধিক গণমাধ্যমে হামলার খবর প্রকাশ পায়। নিরাপত্তা নিয়ে ত্রুটি রাখতে চায় না আয়োজকরা। এরই মাঝে স্পেনের মাদ্রিদ শহরে ৩ হাজারের বেশি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের নামানো হয়েছে। পরদিন মাদ্রিদেই আবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ড খেলবে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে। ধারণা করা হচ্ছে দুদিনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে দুই ম্যাচকে ঘিরে। ডেইলি মেইলের দাবি, ম্যানচেস্টার সিটি ও ডর্টমুন্ডের প্রায় ৮ হাজার দর্শক মাদ্রিদে সফর করবে। এছাড়া লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামেও নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আইএস গত ২২ মার্চ সর্বশেষ হামলা চালায়। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সের এক কনসার্টে হামলায় ১৪৩ জন নিহত এবং আনুমানিক ৩০০ জন আহত হয়েছিল।