আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোথাও ধ্বংসস্তূপকে পেছনে ফেলে আবার কোথাও ধ্বংসস্তূপকে পাশে রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন গাজার মুসলমানরা। ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ হাজার মানুষ নিহতের পর বুধবার প্রথমবারের মতো নিরস ঈদ উদযাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা।
৭ অক্টোবর গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ছয় মাসে ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও পুরুষ। বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছে জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে। গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ একরকম বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে গাজায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ বারবার গাজায় দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছে। তবে সেই বার্তা কানে তুলছে না ইসরায়েল। প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি এবার দুর্ভিক্ষ, তীব্র পানির সংকট এবং খোলা আকাশের নিচে এবারের রমজান অতিবাহিত করেছে।
আল-জাজিরা অনলাইন জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাফাহ’র আল-ফারুক মসজিদের পাশের সড়কে নামাজ আদায় করেছে ফিলিস্তিনিরা। আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ একেবারেই সীমিত করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।
যখন গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদ-উল-ফিতরের ঐতিহ্য অনুসরণ করার জন্য যথাসাধ্য করছে, তখন যুদ্ধ বড় আকার ধারণ করেছে এবং উদযাপন করা কঠিন করে তুলেছে।
রাফাহ এর একজন দোকানদার আহমেদ ইসমাইল আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘পবিত্র ঈদ উদযাপন করার জন্য কোন আনন্দ বা আকাঙ্খা নেই। এমনকি বাচ্চাদেরও খেলনার প্রতি কোন আগ্রহ নেই যেমন তারা অতীতে ছিল। এটি আমাদের জীবনের সবচেয়ে খারাপ মৌসুম।’
দক্ষিণ শহরের একজন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি জাবর হাসান বলেন, ‘মানুষ খুব কমই তাদের পরিবারকে খাওয়াতে পারছে। আমরা আর ঈদ বা উদযাপন বা অন্য কোনো আনন্দের কথা ভাবি না।’