লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গুলির ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজিবের মা বুলি বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ১৮/২০ জনকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, মো. রাফি, তারেক হোসেন ও রাসেদসহ ৬জন মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরছিলেন। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন তারা। এম. সজীবসহ অন্যান্যরা পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা দুর্বৃত্তরা ছাত্রলীগ নেতাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা কফিল উদ্দীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীবসহ ৪ জনকে গুলি করে ও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্বজনরা ও এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদের ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
ঘটনার তিন দিন পর সোমবার রাতে আহত এম. সজীবের মা পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী বুলি বেগম বাদী হয়ে ১১জনের নাম ও নাম না জানা আরো ১৮/২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। (মামলা নং-১৩, তারিখ-১৫-০৪-২৪ইং)।
মামলার বাদী বুলি বেগম বলেন, এম. সজীবের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহিদ হোসাইন বলেন, রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের চার জনকে গুলি করে ও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ১১জন এজাহারনামীয়সহ মোট ৩১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ ২ নম্বর আসামি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, এম. সজীবসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের জবাববন্দি এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।