1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

এক বছরে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ৭৮ বার দেখা হয়েছে
taka

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের ঋণ নেওয়া ক্রমেই বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে সরকারের পুঞ্জিভূত ঋণ ৩ লাখ কোটি টাকা বেড়েছে।

সরকারের ঋণ নেওয়া সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের মোট অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক পুঞ্জিভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ঘরে। এটি জিডিপির ৩৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের মোট পুঞ্জিভূত ঋণস্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা (জিডিপির ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ)। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে সরকারের প্রকৃত ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। জিডিপির হিসাবে সরকারের পুঞ্জিভূত ঋণ বেড়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সরকারের পুঞ্জিভূত ঋণস্থিতির সর্বশেষ এ হিসাব প্রকাশ করেছে।

অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন শেষে সরকারের মোট পুঞ্জিভূত ঋণস্থিতির পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৩) সরকারের প্রকৃত ঋণ বেড়েছে ৪২ হাজার ২১ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এগুলোর বাইরেও সরকারের দেওয়া কিছু আর্থিক গ্যারান্টি বা দায় রয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের মোট আর্থিক গ্যারান্টির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক উৎসের গ্যারান্টির পরিমাণ ৬৭ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎসের গ্যারান্টির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগ এর হিসাব বলছে, সরকারের মোট পুঞ্জিভূত ঋণের মধ্যে ৫৭ শতাংশ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎসের এবং ৪৩ শতাংশ হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ।

গত ডিসেম্বর শেষে মোট পুঞ্জিভূত ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা (জিডিপির ১৯ শতাংশ)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে পুঞ্জিভূত অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৬৪ হাজার ১০৫ কোটি টাকা (জিডিপির ১৯.৪২ শতাংশ)।

অন্যদিকে পুঞ্জিভূত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ ৫ হাজার ৫২০ কোটি টাকা (জিডিপির ১৪.০৪ শতাংশ)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে পুঞ্জিভূত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা (জিডিপির ১১.১৪ শতাংশ)।

পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, মোট পুঞ্জিভূত অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের গৃহীত ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র খাতে সরকারের পুঞ্জিভূত ঋণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এমনকি তা কয়েক মাস ধরে নেগেটিভ হয়ে আছে। অর্থ্যাৎ এ খাত থেকে সরকার ঋণ না নিয়ে মানুষের সুদ-আসলে ঋণ পরিশোধ করছে বেশি। ফলে আগামী কয়েক বছরে পর এ খাত থেকে সরকার ঋণ নেওয়া শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, পুঞ্জিভূত মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা (এর মধ্যে ট্রেজারি বিল থেকে ১,২৮,৭৪১ কোটি টাকা, ট্রেজারি বন্ড ও এসপিটিবি থেকে ৩,৭৮,৭০৬ কোটি টাকা ও সুকুক থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা); সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৭০ কোটি টাকা এবং জিপিএফ তহবিল থেকে ৬৯ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।

অন্যদিকে, সরকারের পুঞ্জিভূত বৈদেশিক ঋণস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, দ্বিপাক্ষিক উৎসের তুলনায় বহুপাক্ষিক উৎস থেতে গৃহীত ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৬ কোটি টাকা, এটি এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় ১৬৭ শতাংশ বেশি। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের একই সময়ে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা।

তবে সরকারের ঋণ বাড়লেও তা এখনো ঝুঁকিসীমার অনেক নীচে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ‘টেকসই ঋণ কাঠামো’ (ডেট সাসটেইনেবল ফ্রেমওয়ার্ক-ডিএসএফ)-এর মানদণ্ড অনুযায়ী, জিডিপির ৫৫ শতাংশ ঋণকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ