নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় শিলাস্তি রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার (১০ জুন) শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ এবং তানভীর ভূঁইয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন। মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন মামলায় উল্লেখ করেছেন, ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলি। তার কথা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এর পর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাই।
১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো।’ এছাড়াও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতের বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানতে পারি, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে। মামলা দায়েরের পর শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই দফায় তাদের ১৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
এদিকে, রোববার এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।