কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশিদের জন্য কয়েক ক্যাটাগরির ভিসা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে ওমান। দেশটির সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শিথিল হওয়া বিভাগগুলো হলো: পারিবারিক ভিসা, জিসিসিভুক্ত (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) দেশগুলোতে বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ (ভিজিটেশন) ভিসা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী, সমস্ত ধরনের অফিসিয়াল ভিসা এবং উচ্চআয়ের পর্যটক।
বুধবার (১২ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওমানের সালতানাত সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে ঢাকাস্থ ওমান দূতাবাস তার স্ব-ব্যাখ্যামূলক নোটে বলেছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর আরোপিত অস্থায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
নোটে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে স্থানীয় দূতাবাস রয়্যাল ওমানি পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় সাপেক্ষে এই বিভাগগুলোর সমস্ত আবেদন এবং সম্পর্কিত নথি গ্রহণ করবে এবং প্রক্রিয়া করবে। দূতাবাসের নোটে আরও আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, ওমান ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘ওয়ার্ক ভিসার’ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য কাজ করছে, যা চলমান রয়েছে।
ওমানি রয়্যাল পুলিশ তাদের সামগ্রিক অভিবাসন নীতি পর্যালোচনা করার জন্য ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে অফিসিয়াল উদ্দেশ্য ছাড়া সব শ্রেণির ভিসার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এদিকে, বাংলাদেশে ওমানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘…গত বছরের অক্টোবরে জারি করা ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে কিছু শ্রেণির বাংলাদেশি নাগরিকদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ওমানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় ওমান দূতাবাস উল্লিখিত বিভাগসমূহের আবেদনকারীদের কাছ থেকে সমস্ত আবেদন গ্রহণ ও প্রক্রিয়া করবে এবং ভিসা ইস্যু করার জন্য রয়্যাল ওমান পুলিশের (আরওপি) সঙ্গে যথাযথভাবে সমন্বয় করবে।
‘অনুরোধকৃত ভিসার জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই করতে সমস্ত আবেদনপত্র যথাযথভাবে প্রত্যয়িত কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে। প্রতিটি আবেদনের বিবরণের ওপর নির্ভর করে আবেদনের প্রক্রিয়াকরণে এক থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে।’
ওমান দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশ ও ওমান কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভিসা নিষেধাজ্ঞা ওঠাতে কাজ করছে এবং এ লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে অরাজনৈতিক উল্লেখ করে দূতাবাস বলেছে, ওমানের বিদেশি শ্রম বাজারের নিয়মিত এবং চলমান পর্যালোচনা প্রক্রিয়া-সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।