1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন

আজও সাড়ে তিন ডজন কোম্পানির বিক্রেতা উধাও!

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৮৯ বার দেখা হয়েছে
Up

পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মূল্য সূচক ও লেনদেন। প্রায় দেড় মাস ধরে পুঁজিবাজারে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও ঈদের আগের শেষ সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। একদিকে সূচকের বড় উত্থান হচ্ছে, অন্যদিকে তারল্য সংকট কাটিয়ে লেনদেনের গতিও বেড়েছে বেশ। বর্তমান পুঁজিবাজারের চিত্র দেখলে যে কারো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে মাত্র ক’দিন নাজুক পর্যায় ছিল। সূচক, লেনদেন বাজার মূলধনে আশানুরূপ বৃদ্ধি দেখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। এতোদিন নেগেটিভ ইক্যুটিতে থাকা পোর্টফোলিওগুলো তাদের পুঁজি ফিরে পাচ্ছে। 

এতে বাজারে ফিরছেন বিনিয়োগকারীরা এবং বাজারের ওপর তাদের আস্থাও বাড়তে শুরু করেছে। এমনকি বাড়তি দামেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ।

সপ্তাহের শেষদিন আজ বৃহস্পতিবার দফায় দফায় দাম বাড়ার পর প্রায় ৪০টি কোম্পানির শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে যায়। এই ৪০টি কোম্পানির মধ্যে ‘জেড’ গ্রুপের পচা কোম্পানি ছিল ৮টি।

এর মধ্যে রয়েছে- সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, কেয়া কসমেটিক্স, বিডি ওয়েল্ডিং, শাহিন পুকুর সিরামিকস, ডেল্টা স্পিনিং, শ্যামপুর সুগার মিল এবং মিথুন নিটিং। বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ায় এ কোম্পানিগুলোর ঠিকানা হয়েছে জেড গ্রুপ।

এর মধ্যে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। অথচ এই পচা কোম্পানিটির দাম আজ বাড়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি এগিয়েছিল। দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করা কোম্পানিটি ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়ার পর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে না পারা আইসিবি ইসলামী ব্যাংকও দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে লভ্যাংশ না দেয়া বিডি ওয়েল্ডিংয়ের শেয়ার দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

বিক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়া শাহিন পুকুর সিরামিকস ২০১২, ডেল্টা স্পিনিং ২০১৭ এবং মিথুন নিটিং ২০১৬ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আর শ্যামপুর সুগার মিল সর্বশেষ কবে লভ্যাংশ দিয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

‘জেড’ গ্রুপের এসব কোম্পানির পাশাপাশি বিক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়া অন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- এবি ব্যাংক, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, প্রগতী ইন্স্যুরেন্স, জিবিবি পাওয়ার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স, ফাস ফাইন্যান্স, বে-লিজিং এবং প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স। আজ কয়েকটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরও সর্বোচ্চ দর স্পর্শ করতে দেখা যায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ