1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

পুঁজিবাজারে বিদেশে অবস্থানকারীদের জন্য বিনিয়োগ সহজ হচ্ছে

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৮০ বার দেখা হয়েছে
bsec-600x337

পুঁজিবাজার ফিরে আসছে গতি,বিনিয়োগ হচ্ছে সহজ দেশের বাইরে ট্রেকহোল্ডার বা ব্রোকারহাউজের বুথ বা শাখা খোলার অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশের পুঁজিবাজারের পরিধির বিস্তার এবং বাজারে অনিবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে জানা গেছে, বিদেশে ব্রোকারহাউজের শাখা অথবা সার্ভিস বুথ খোলার ব্যাপারে একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হবে। এর আওতায় আগ্রহী ব্রোকারহাউজকে বুথ বা শাখা খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। সেখান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা সরাসরি বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। টাকা জমা দিয়ে নিজেরাই শেয়ার কিনতে পারবেন, বেচতে পারবেন। আবার প্রয়োজনে বিনিয়োগের পুরোটা বা একাংশ তুলে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সহজ সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএসইসি। তাতে একদিকে প্রবাসীরা লাভবান হবেন, অন্যদিকে তাদের উপার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে আরও বেশি করে কাজে লাগবে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশে বিপুল বাংলাদেশী আছেন যারা সেখানের ব্যাংকগুলোতে টাকা জমা রাখলে কোন সুদ পান না, উল্টো টাকা কর্তন করা হয়।পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুয়োগ সহজ করা হলে আমাদের দেশের পুঁজিবাজার এর অনেক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমানে প্রবাসীদেরকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হলে মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া বা উত্তোলন করতে হয়। এটিকে অনেকেই স্বস্তিদায়ক মনে করেন না।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রবাসীদের বসবাস, আড্ডা ইত্যাদি তুলনামূলকভাবে বেশি। ওইসব এলাকায় ব্রোকারহাউজের বুথ বা শাখা খোলা হলে তারা একই সঙ্গে গল্প করতে করতে লেনদেন করতে পারবে। আবার কেউ চাইলে বাসায় বসে অ্যাপের মাধ্যমেও সরাসরি লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবে।

তিনি জানান, ব্রোকারহাউজের বিদেশী শাখায় গ্রাহকের বিনিয়োগের তথ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। বিদেশী মুদ্রার বিনিময় মূল্য ধরে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ বা তহবিলের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে চাইলে একইভাবে বিনিময় মূল্য অনুসারে তাকে বিদেশী মুদ্রায় তার প্রাপ্য অর্থ ফেরত দিতে হবে।

তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা লাগবে। কিছু বিধিবিধান সংশোধন করতে হতে পারে। এ বিষয়ে কিছুদিনের মধ্যেই দুই প্রতিষ্ঠান বৈঠকে বসবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ