1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
হেডলাইন :
ওয়ালটন ডেস্কটপে বিশাল মূল্যহ্রাস, অনলাইন অর্ডারে আরো ১০% ছাড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি  নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের মিট দ্য বরোয়ার ও গ্রাহক সমাবেশ ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ শিক্ষায় কমপক্ষে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে: তারেক রহমান এবার ভরিতে ২৯৩৯ টাকা বাড়ল সোনার দাম ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ বিদেশি এলএনজি দেশে জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করছে

বিএসইসির নতুন কমিশনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রকিবুর রহমান

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪৪৩ বার দেখা হয়েছে
rakibur-rahman 1

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) দায়িত্বে থাকাকালীন বিগত কমিশনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান। তবে বিগত কমিশন দায়িত্ব ছাড়ার পরপরই ডিগবাজি মারেন তিনি। অবসরে যেতেই তুমুল প্রশংসা থেকে সমালোচনায় নিমজ্জিত হন। যিনি আগের ধারাবাহিকতায় এবার নতুন দায়িত্ব গ্রহন করা অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

একসময় যোগ্য নেতৃত্ব বললেও বিদায় নেওয়ার পরে বিগত কমিশনকে পুরোপুরি ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ওই কমিশনের বিদায়ের পরে গত ৬ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেনের কমিশনকে ব্যর্থতার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনাও করেন। উনার এই ডিগবাজির কারনে সাংবাদিকেরাও আগে প্রশংসা করে এখন সমালোচনার কারন কি, তা জানতে চেয়ে তার কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন। তবে সঠিক কোন জবাব ছিল না।

অথচ এর আগে গত বছরের ১৭ মে রাজধানীর স্কাই সিটি হোটেলে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে রকিবুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে সবাই একসঙ্গে কাজ করব। একইসঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আছেন এবং পাশে থাকবেন বলে জানান তিনি।

ওই ইফতার অনুষ্ঠানে রকিবুর রহমান বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনেক সংস্কার হচ্ছে। আমরা সবাই তার নেতৃত্বে একসঙ্গে কাজ করব। তিনি আমাদের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা সবাই তার সঙ্গে একমত। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার সমস্যার সমাধান হয়েছে। এছাড়া তিনি শেয়ারবাজারের স্বার্থে আইপিও থেকে শুরু করে প্লেসমেন্ট, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন, উদ্যোক্তাদের শেয়ারে লক-ইনসহ প্রত্যেকটি সংস্কার কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সবাই তার নেতৃত্বে শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পাশে আছি এবং থাকব। এছাড়া তিনি শেয়ারবাজারকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে যে কাজ করে যাচ্ছেন, আমরা তার এই কাজের পাশে থাকব।

এরপরে গত বছরের ২২ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) মধ্যে আয়োজিত বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে রকিবুর রহমান বলেন, কিছুদিন ধরে শেয়ারবাজারের দুর্বল দিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সবকিছু মিলিয়ে কমিশন বেসিক জায়গায় সংস্কার করেছে। খায়রুল হোসেনের এই উদ্যোগের সঙ্গে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।

এরপরে গত বছরের ২৪ মে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে শেয়ারবাজার নিয়ে রিপোর্টিং করা সাংবাদিকদের সঙ্গে ডিএসইর আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান শেয়ারবাজারের জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, আমরা তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি। এই বাজারকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। আইনের মধ্য থেকে যার যার কাজ, তাকে করতে হবে। যাতে কেউ অনিয়ম না করে। করলেই শাস্তি আওতায় আনতে হবে। এখানে আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে।

একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রকিবুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এরইমধ্যে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। বিএসইসি কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বড় বাঁধা রি-ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট (আরআইইউ) বাতিল ও পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধন করেছে।

এতো প্রশংসার পরেও খায়রুল হোসেনের কমিশন বিদায় নেওয়ার পর ৬ জুন অপ্রত্যাশিতভাবে সমালোচনা করেন রকিবুর রহমান। তিনি বলেন, খায়রুল হোসেন নেতৃত্বাধীন বিএসইসি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিগত কমিশন অনেক আইন-কানুন পরিবর্তন করেছে। অনেক এক্সপেরিয়েন্স করেছে। তার কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। প্রতিটি আইন ব্যক্তি গোষ্ঠীর স্বার্থে করা হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিনিয়োগকারী ও শেয়ারবাজার।

বিগত কমিশনের ক্ষমতায় থাকাকালীন ও বিদায়ের পরে রকিবুর রহমানের দুই রকম আচরনে সাংবাদিকদের প্রশ্নও ছিল অনেক। তিনি আগে প্রশংসা করে এখন সমালোচনা করছেন কেনো, এছাড়া আগের কমিশনও ব্যর্থ হলেও তিনি কেনো প্রতিবাদ করেননি, এছাড়া আইপিও নিয়ে সমালোচনা হলেও স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেনো একটি কোম্পানিরও তালিকাভুক্তি আটকাতে পারেননি ইত্যাদি প্রশ্ন ছিল। তবে এর সঠিক জবাব ছিল না।

এখন বর্তমান কমিশনের প্রশংসা করছেন রকিবুর রহমান। গত ৬ জুন বিগত কমিশনের সমালোচনার পাশাপাশি নতুন দায়িত্ব নেওয়া শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কমিশনের প্রশংসা করেন তিনি। শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী ও সৎ কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান। যে কমিশনের মাধ্যমে শেয়ারবাজার এগিয়ে যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এরপরে ধীরে ধীরে নিয়মিত শিবলী রুবাইয়াত কমিশনের প্রশংসার মাত্রা বাড়িয়ে যাচ্ছেন। যেটাকে অনেকে তেল দেওয়া হচ্ছে বলে অগোচরে সমালোচনা করছেন।

সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ উপলক্ষে ডিএসইর আয়োজিতেএক অনুষ্ঠানে রকিবুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে আমি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেখছি। এর আগে ৪০ বছর শুধু স্বপ্নই দেখেছি। এই কমিশনের নেতৃত্বে আমি অভিভূত। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ বাজারের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তারা মাত্র ৪ মাসেই বাজারের জন্য অনেক ভূমিকা রেখেছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ