যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশটিতে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৬শ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে কমপক্ষে ২ লাখ ৮১ হাজার ২শ জন করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে একদিনেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৫ জন। দেশটিতে করোনা মহামারি শুরু পর এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ৩৪ হাজার ৮৫৩ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে টেক্সাস। ওই অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২২ হাজার ৮২৫ জন।
ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা এবং নিউ জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ইলিনয়েস, পেনসিলভানিয়া, ম্যাসাচুসেটস এবং মিশিগানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু এখন পর্যন্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
বিশ্বব্যাপী যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তার মধ্যে ১৮ শতাংশের বেশিই যুক্তরাষ্ট্রে। গত ১ ডিসেম্বর দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত কয়েকদিনে এই সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
অপরদিকে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও রেকর্ড পরিমাণে বাড়ছে। এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৫।
ওই পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৫ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩৮ জন। বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৮৬২। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২৬ হাজার ২৬১ জন।