দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশ গার্মেন্টসের আর্থিক হিসাবে দেখানো ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বা সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক। যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, তাদেরকে অগ্রনি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার স্টেটমেন্ট প্রদান করা হয়নি। যাতে দেশ গার্মেন্টসের আর্থিক হিসাবে দেখানো ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি নিরীক্ষক।
এই কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তাদের অদাবিকৃত ৮৬ লাখ টাকার লভ্যাংশ রয়েছে। যা ১৯৮৯-১৯৯০ সাল থেকে দেখিয়ে আসা হচ্ছে।
এদিকে ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি প্রতি কোম্পানিতে মুনাফার ৫% হারে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করতে হয়। যে ফান্ড অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে বিতরনের বিধান রয়েছে। কিন্তু দেশ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ এই ফান্ড গঠন না করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
দেশের প্রথম এই গার্মেন্টস কোম্পানিটি গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসায় নিম্নমূখী অবস্থা রয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই’২১-ডিসেম্বর’২১) ঘুরে দাড়িঁয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের একইসময়ের লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফিরেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ০.৫৪ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ০.৪৬ টাকা।
এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২১-ডিসেম্বর’২১) ইপিএস হয়েছে ০.২৮ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.২৭ টাকা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া দেশ গার্মেন্টসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪৩.৭৩ শতাংশ। কোম্পানিটির বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৭৫.১০ টাকায়।