দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কে অ্যান্ড কিউ কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কে অ্যান্ড কিউয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা রয়েছে। এরমধ্যে আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) ৩৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা অন্তর্ভূক্ত আছে।
কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরনের বিধান রয়েছে। এ হিসাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ডব্লিউপিপিএফ ফান্ড ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরন না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন কে অ্যান্ড কিউ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কে অ্যান্ড কিউয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৮.১২ শতাংশ। কোম্পানিটির বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২৭৮.২০ টাকায়।