একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারকারী ট্রেকহোল্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা আগামি ৩০ জুনের মধ্যে নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিমাস এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির সহকারি পরিচালক মাকসুদা মিলা সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি তামহা সিকিউরিটিজের একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসার পরে এমন সিদ্ধান্ত নিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ওই ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিনিয়োকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে। তারা বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ বিক্রি ও নগদ অর্থ আত্মসাত করলেও তা ব্যাক-অফিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে আড়াল করে আসছিল। যারা ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওর প্রকৃত তথ্যের বিপরীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে।
যা প্রতিরোধ ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষনে বিএসইসি একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে যেসব ট্রেকহোল্ডারস একাধিক ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তাদের কাছ থেকে ব্যাখা নিতে স্টক এক্সচেঞ্জকে বলা হয়েছে। এছাড়া ওইসব ট্রেকহোল্ডারস কোম্পানিতে এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করার জন্য এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান ট্রেকহোল্ডারদের সফটওয়্যার সরবরাহের পূর্বে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন নেবে। যা কমিশনকে অবহিত করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
ট্রেকহোল্ডারদের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইনস্টলেশনে স্টক এক্সচেঞ্জ পলিসি তৈরী করে দেবে এবং তা ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে জানিয়ে দেওয়ার জন্য বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে। এছাড়া নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও সিকিউরিটি পলিসি তৈরী করে দিতে স্টক এক্সচেঞ্জ বলা হয়েছে।
চিঠিতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে ট্রেকহোল্ডার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিদিনের লেনদেনের তথ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যাক-আপ পলিসি গঠন করতে বলা হয়েছে।