সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। একটি ঘটনা ঘটেছে এবং তিনি তা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় যে জিডি হয়েছে, যথাযথভাবে তার তদন্ত চলছে।
ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, যথাযথভাবে তদন্ত করে আমরা প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবো। ওই কনস্টেবলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোটরসাইকেলটি বৈধ মনে হয়েছে।
এর আগে অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চিহ্নিত করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি। পরে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এ খবর প্রকাশিত হলে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকেই নিজের টিপ পরা ছবি ফেসবুকসহ বিভ্ন্নি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। নারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পুরুষরাও। অনেক পুরুষ নিজের টিপ পরা ছবি শেয়ার করছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংসদেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংরক্ষিত আসনের এমপি সুবর্ণা মুস্তাফা।