করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার অংশ হিসেবে দেশের অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় শেয়ারবাজারও বন্ধ থাকবে ৩০ মে পর্যন্ত।
শনিবার (১৬ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকার ৬ষ্ঠ দফায় ১৪ দিন সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সাথে সংগতি রেখে ডিএসই’র ট্রেডিং, সেটেলমেন্ট কার্যক্রমসহ সকল দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে৷
ডিএসই ৩০ মে পর্যন্ত ছুটির ঘোষণা দিলেও লেনদেন চালুর জন্য বিভিন্ন বিষয় থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিএসইসির সম্মতি চেয়ে গত ৩ মে চিঠি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএসইসির সম্মতি পেলে এবং তাদের নির্দেশনার আলোকে লেনদেন চালু করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। তবে কমিশনের কোরাম সংকটের কারনে ডিএসইকে বিভিন্ন বিষয়ে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব না। যাতে করোনাভাইরাসে সরকারি ছুটির মধ্যে লেনদেন চালু হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপরে প্রথম দফায় ৭দিন সাধারন ছুটি বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয় এবং দ্বিতীয় দফায় ৩দিন সাধারন ছুটি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করে। এরপরে ১১ দিন বাড়িয়ে সাধারন ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত, আরও ১০দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত এই ছুটি বর্ধিত করা হয়। যা ৫ম দফায় ১১দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল। আর সর্বশেষ ১৪ দিন সাধারন ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ধাপে ধাপে শেয়ারবাজারও বন্ধ ঘোষণা করেছে ডিএসই।